Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মার্চ ২০২৫

ইতিহাস

ফরিদপুর শহর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে অবস্থিত। প্রসিদ্ধ কামেল শাহ শেখ ফরিদউদ্দীনের নামে এ জেলার নাম ফরিদপুর হয়। পূর্বে ফতেহ আলীর নামে এলাকাটি ফতেহবাদ নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসী ঢাকা জেলাকে ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি করেন। কিছু কালপর ১৮৬৯ সালে ফরিদপুর শহরকে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। ২২.৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ফরিদপুর পৌরসভা ১৯৮৩ সালে “গ’’ থেকে “খ’’ শ্রেণীতে এবং ১৯৮৬ সালে “খ’’ থেকে “ক’’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত শহরটির আয়তন, ৬৬.৫৪ বর্গ কিলোমিটার।

ফরিদপুর ঢাকা থেকে ১৫০ কিঃমিঃ দূরে দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা তিরবর্তী শহর  । রাজধানী সহ দেশের অন্যান্য জেলা শহরের সাথে উন্নত সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান । মংলা ও বেনাপোল বন্দর এবং বরিশাল বভিাগীয় শহরের সাথে রয়েছে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা । প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর সাথে ফরিদপুর শহরের যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে । শহরের ভিতরে অবস্থিত কুমার নদী কার্যতপৌর এলাকাকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছে । পৌরসভার মধ্য দিয়ে ঢাকা বরিশাল রোড অবস্থিত । এক সময় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু ছিল, যা পুনরায় চালু হতে চলেছে এবং চালু হলে ফরিদপুরের কর্ম চাঞ্চল্যতাবেড়ে যাবে । ফরিদপুর বহু পুরাতন পৌরসভা হলেও বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হওয়ার বিনোদন সহ অনেক নাগরিক সুযোগ সুবিধা গড়ে উঠেছে।  বর্তমানে বিনোদনের জন্য ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্ক থাকায় শহরে বসবাসকারী নাগরিকগণের চিত্ত বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে । এছাড়াও পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন, নদী গবেষনা ইন্সটিটিউট, রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের স্মৃতি বিজরিত পদ্মা ও কুমার নদীর অববাহিকা, মুসলিম মিশন ইন্সটিটিউট । শহরে প্রচুর গাছপালা থাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোমুদ্ধকর ।

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠায় শর্তসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ফরিদপুর বিভাগ কার্যকর হলেই এর মর্যাদা পাবে ফরিদপুর।